চুয়াডাঙ্গায় কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে ট্রেনের আগাম টিকিট!

বাংলাদেশ রেলওয়েচুয়াডাঙ্গা ও দর্শনা রেলস্টেশনে ট্রেনের আগাম টিকিট কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। কালোবাজারিদের কাছ থেকে দ্বিগুণ, তিন গুণ দামে টিকিট কিনছেন যাত্রীরা। রেলওয়ে পুলিশ ও টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের যোগসাজশে সংঘবদ্ধ একটি চক্র টিকিট কালোবাজারি করছে বলে সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনা রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে ১৯ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত দেওয়া হবে ফিরতি টিকিট। এর মধ্যে ১৯ জুন দেওয়া হয় ২৮ জুনের আগাম টিকিট, ২০ জুন দেওয়া হয় ২৯ জুনের টিকিট, আর ২৫ জুন দেওয়া হবে ৪ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট।

মৃনাল নামে টিকিট কিনতে আসা একজন বলেন, ‘ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত ৪-৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে মিলছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। অতিরিক্ত গরমে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট মিললেও লাইনে না দাঁড়িয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়েও পাওয়া যাচ্ছে তা। ফলে টিকিট পেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে আমাদের।’

শরিফ নামে অন্য একজন বলেন, ‘টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত রয়েছেন। তাদের যোগসাজশে সংঘবদ্ধ একটি চক্র টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করছে।’

মৃনাল ও শরিফ ছাড়াও টিকিট কিনতে আসা অনেকেই জানান, প্রতিবার ঈদ আসলেই টিকিট কালাবাজারির হিড়িক পড়ে চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনা রেলস্টেশনে। এবারও একাধিক ব্যক্তিকে বারবার টিকিট নিতে দেখা যাচ্ছে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত রয়েছে জিআরপি পুলিশও। কালোবাজারিদের কাছ থেকে কমিশন খেয়ে তারা দেখেও না দেখার ভান করছে।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের স্টেশন-মাস্টার আনোয়ার হোসেন সাদাত বলেন, ‘কালোবাজারে টিকিট বিক্রি বন্ধে জিআরপি ও আরএমপিকে ম্যামো দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও নজর রাখছে। এখন পর্যন্ত কালোবাজারির কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

/এমএ/

আরও পড়ুন- ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় কেটে উঠেছে