রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা পরিবহনে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি

Mongla-pic-01-16-07-17শিগগিরই দৃশ্যমান হচ্ছে কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প। এ লক্ষে ওই প্রকল্পে কয়লা পরিবহনের জন্য নৌপথ সচল রাখতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। রবিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে এ চুক্তি সম্পন্ন হয়।

চুক্তি হওয়া এ ড্রেজিং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা। মংলা বন্দর জেটি থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এ নৌপথটিতে ভারতের ‘ড্রেজিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড’ নামে প্রতিষ্ঠানটি এ কাজ করবেন বলে জানা গেছে।

ড্রেজিং চুক্তিতে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সে দেশের ডেপুটি হাই কমিশনার দিবাঞ্জন রায় ও ভারতের ড্রেজিং করপোরেশনের চেয়ারম্যান শ্রী রাজেস ত্রিপথি। বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর ফারুক হাসান, প্রকল্প কর্মকর্তা শওকত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে তারা মংলা বন্দর জেটি থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারের নৌপথ ড্রেজিংয়ের যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

পরে সাংবাদিকদের বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার দিবাঞ্জন রায় বলেন, ‘তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পটির জন্য কয়লা পরিবহন অত্যন্ত জরুরি।’ সেক্ষেত্রে নৌপথটি সচল রাখতে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

তিনি জানান, এই ড্রেজিং কার্যক্রমে তাদের প্রতিষ্ঠান ‘ড্রেজিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড” ভালো কাজ করবে। এই প্রজেক্টের কাজ শেষ হলেই বাংলাদেশে-ভারত আরও বিনিয়োগ করবে।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর ফারুক হাসান জানান, ‘রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে কয়লা পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথটি সচল রাখতে তারা এই উদ্যোগ নেন। এ নৌপথটি সচল হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা পরিবহনসহ বন্দরে বড় বড় জাহাজেরও আগমন হবে এবং বন্দরের আয়ও বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি হলো। আগামী মাসে এই ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এ কাজ শেষ হবে।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০১০ সালে ভারতের সঙ্গে রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ নির্মাণের চুক্তি হয়। সেখানে অবকাঠামোসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কাজ প্রায় শেষের পথে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

/এআর/