রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বদলে দিয়েছে মংলা কাস্টমসের ভাগ্য!

রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি (ছবি: মংলা প্রতিনিধি)মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৬০ ভাগই আসছে বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি থেকে। গাড়িতে ভর করেই ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে এ বন্দরে। কাস্টমস হাউস কমিশনার মারগুব আহম্মদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

বুধবার (১৯ জুলাই) বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য মংলা কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৩ কোটি টাকা বেশি।’মংলা কাস্টম হাউস

রাজস্ব আয়ের খাতসমূহের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘শতকরা ৬০ ভাগ রাজস্ব এসেছে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি থেকে। বাকি টাকা এসেছে অন্যান্য আমদানি-রফতানিকৃত পণ্যসহ বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা মালামালের নিলাম থেকে।’

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে মংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি শুরু হয়। এরপর থেকে এ বন্দর দিয়ে এখন পযর্ন্ত ৭২ হাজার গাড়ি আমদানি করা হয়েছে।

কাস্টমস কমিশনার আরও জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে মংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বাড়ছে। আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মংলা কাস্টমস হাউজের রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ২ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা।মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ

গাড়ি আমদানি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ‘মংলা বন্দরে গাড়ি আমদানিতে এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। বন্দর থেকে কাস্টমস হাউসের দূরত্ব বেশি হওয়ায় গাড়ি ডেলিভারিতে দেরি হয়। অথচ অনলাইন ব্যাংকিং চালু হলে এ অবস্থার উত্তরণ সম্ভব। এ ছাড়া গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার কারণে আমদানিকারকদের মোটা অঙ্কের ক্ষতি হয়। এসব সমস্যার সমাধান হলে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর ব্যবহারে আরও আগ্রহী হবে।’ বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ‘কার ক্যারিয়ার’ কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর হাসান ফারুক জানান, ‘গাড়ি আমদানিকারকরাই বন্দরের প্রাণ। গাড়ি যন্ত্রাংশ চুরি ও কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিষয়ের সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘কার ক্যারিয়ার’ কেনার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে ভাবা হচ্ছে।’

/এএইচ/এফএস/ 

আরও পড়ুন- ফেনীছড়া নদীর ভাঙনে কমে যাচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ড