ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে বাগেরহাটে

বাগেরহাটদেশের অন্যান্য জেলার মতো বাগেরহাটেও শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য নিচ্ছেন তথ্য সংগ্রহকারী। ৯ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই কাজ।

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ হবে এবং যেসব নাগরিক যোগ্য হওয়ার পরও বিভিন্ন কারণে ভোটার হতে পারেননি, কেবল তাদেরই ভোটার করা হবে এই হালনাগাদ কর্মসূচিতে।

এই ধাপে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম- এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পাশাপাশি মৃত ভোটারদের তথ্যও সংগ্রহ করে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

জেল নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন ১০১ জন। তাদের তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন ২১ জন সুপারভাইজার। কচুয়া উপজেলায় ৩৫ জন তথ্য সংগ্রহকারী, ৭ জন সুপারভাইজার, মোড়েলগঞ্জে ২৯ জন সুপারভাইজারের সঙ্গে রয়েছেন ১১৯ জন তথ্য সংগ্রহকারী, শরণখোলায় ৫৬ জন তথ্যসংগ্রহকারী ও ১১ জন সুপারভাইজার, রামপালে ৬৫ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১৪ জন সুপারভাইজার, মংলায় ৬১ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১৪ জন সুপারভাইজার, ফকিরহাটে ৬১ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১১ জন সুপারভাইজার, মোল্লাহাটে ৪৩ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও আট জন সুপারভাইজার এবং চিতলমারীতে ৫২ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও ১০ জন সুপারভাইজার কাজ করছেন। সব মিলিয়ে জেলায় মোট পাঁচশ ৮৩ জন তথ্য সংগ্রহকারী ও তাদের তদারকির জন্য ১২৫ জন সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহাকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। হালনাগাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের আছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশব্যাপী ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ২০০৯, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি সর্বশেষ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকা অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬৭ জন ভোটার রয়েছেন।

/টিআর/এসটি/