পুলিশের বিরুদ্ধে যুবকের চোখ উঠিয়ে নেওয়ার মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

শাহ জালাল (ফাইল ছবি)ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক  যুবক শাহ জালালের চোখ উঠিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আমলি আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম অভিযোগটি মামলা হিসেবে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার পরবর্তী দিন আগামী ১৮ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খান, এসআই  রাসেল, এসআই  তাপষ রায়, এসআই  মোরসেলিম মোল্লা, এসআই  মিজান, এসআই মামুন, এসআই  নূর ইসলাম ও এএসআই  সৈয়দ সাহেব আলী, আনসার সদস্য (সিপাই) আফসার আলী, আনসার ল্যান্স নায়েক আবুল হোসেন, আনসার নায়েক রেজাউল, ছিনতাই মামলার বাদী খালিশপুর পুরাতন যশোর রোড এলাকার সুমা আক্তার ও শিরোমনি বাদামতলা এলাকার লুৎফুর হাওলাদারের ছেলে রাসেল।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, শাহ জালালের মা রেনু বেগম গত ৭ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানার আট পুলিশ, তিন আনসার কর্মকর্তা, ছিনতাই মামলার বাদীসহ ১৩ জনের নামে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আটকের পর দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা না পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা শাহ জালালের দু’চোখ উৎপাটন করে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই মো. শাহ জালাল পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের বাড়ি থেকে খুলনা মহানগরীর নয়াবাটি রেললাইন বস্তি কলোনিতে শ্বশুরবাড়িতে আসে। ওইদিন রাত ৮টায় শাহ জালাল তার শিশু কন্যার দুধ কেনার জন্য বাসার পার্শ্ববর্তী গোয়ালখালী মোড় এলাকার দোকানে যায়। এ সময় ওই এলাকা দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময় সুমা আক্তার নামে এক নারী ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে শাহ জালালকে আটক  করে। পরে খালিশপুর থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং দেড় লাখ টাকা দাবি করে। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা শাহ জালালকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার হাত-পা চেপে ধরে এবং মুখে গামছা ঢুকিয়ে দুই চোখ উপড়ে ফেলে বলে শাহ জালালের মা অভিযোগ করেন। বর্তমানে তার দু’টি চোখই নষ্ট হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:

শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গা তরুণকে ছেলেধরা সন্দেহে হত্যা