মাদ্রাসা সুপারকে পিটিয়ে হত্যা: ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সাতক্ষীরার মাদ্রাসা শিক্ষক সাইদুর রহমানসাতক্ষীরায় ঘুষ না দেওয়ায় মাদ্রাসা সুপারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে সদর থানার দুই উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের পরিবার। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১ এ নিহতের ভাই বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান, এসআই পাইক দেলোয়ার, এএসআই আশরাফুজ্জামান, এএসআই শেখ সুমন হাসান ও অজ্ঞাতনামা দুইজন কনস্টেবল।

নিহত মাওলানা সাইদুর রহমান কলারোয়া উপজেলার বাকশা হঠাৎগঞ্জ মাদ্রসার সুপার ও সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মৃত দেলদার রহমানের ছেলে।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়িতে গেলে সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান, এসআই পাইক দেলোয়ার, এএসআই সুমন, এএসআই আশরাফুজ্জামানসহ দুই কনস্টেবল তাদের বাড়িতে গিয়ে মাওলানা সাইদুর রহমানের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। অন্যথায় তাকে জামায়াতের মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বেদম মারধর করে। এ সময় বাড়ির উঠানে ফেলে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। বুকের ওপর উঠে দাঁড়ায় পুলিশ সদস্যরা।

আরজিতে আরও বলা হয়েছে, ওই সময় পাঁচ হাজার টাকা দিতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে সাইদুর রহমানকে ধরে নিয়ে যায়। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে থানার গারদখানায় ফেলে ফের মারপিট করা হয়। থানা থেকে তাকে কোর্ট হাজতে পাঠানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কোর্ট হাজত কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রহণ না করে চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে আসতে বলে। সাইদুর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পুলিশ তাকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ১টার দিকে সাইদুর রহমানকে ফের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে তিনি মারা যান।

এ প্রসঙ্গে সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, মামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

আরও পড়ুন- ঘুষ না দেওয়ায় মাদ্রাসা সুপারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ