নড়াইলের তিন উপজেলায় আমন ধানে বাদামি পোকা লাগায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। বাদামি গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমণে বিস্তীর্ণ জমির ধানগাছ প্রথমে হলুদ ও পরে শুকিয়ে যাচ্ছে। পোকা লাগা ধান ক্ষেত কোথাও কোথাও পুড়ে যাওয়ার মতো দেখাচ্ছে।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক জানান, গত তিন থেকে চারদিন আগে আমন ধানে বাদামি গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে আমন ধান রক্ষা করতে কি কি নিয়ম পালন করতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে ইতোমধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। পোকার আক্রমণের খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে পোকা দমনে আমরা যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) পর্যন্ত নড়াইল সদর ও কালিয়া উপজেলায় মাত্র ৩.৫ হেক্টর জমি কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত হলেও এরমধ্যে ৩.১ হেক্টর জমিতে ওষুধ ও অন্যান্য কলাকৌশল প্রয়োগ করে জমির ফসল পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা সম্ভবপর হয়েছে বলেও তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘বাদামি গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমণ সরেজমিনে দেখার জন্য নড়াইলের চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের নাওরা, নূর মোহাম্মদনগর (মহিষখোলা), মাইজপাড়া ইউনিয়নের পচামাগুরা, কাঁঠালবাড়িয়াসহ কয়েকটি এলাকার ধান ক্ষেত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) পরিদর্শন করে ওই এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষাকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পোকার আক্রমণ থেকে ধানক্ষেত রক্ষায় আমরা সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস জানান, এই পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি ধানক্ষেতে আলোর ফাঁদ তৈরির জন্য কৃষকদের বলেছি। কৃষকদের সহযোগিতায় ধান ক্ষেতের এ পোকা অচিরেই নির্মূল করা যাবে।