বাল্যবিয়ের আয়োজন, মেয়ের বাবার দণ্ড






বাল্যবিয়েযশোরের মণিরামপুরে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় মইনুদ্দীন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে বিয়ের আয়োজন ভেঙে দেওয়া হয়েছে।


সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুর রহমান আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত মইনুদ্দীন উপজেলার চাকলা গ্রামের সুরত আলী গাজীর ছেলে। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সিলেমপুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তিনি নিজের ১৫ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন। সোমবার দুপুরে চাকলায় মইনুদ্দীনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গোপন সংবাদে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে ইউএনও স্যার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরে মইনুদ্দীনের সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।  তাকে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করা হয়।’
অভিযান যখন চলছিল তখনও বরপক্ষ কনেপক্ষের বাড়িতে এসে পৌঁছায়নি বলে জানান আবু হেনা।
আদালত চলাকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার, এএসআই মোশাররফ হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য সরোয়ার দফাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- নিজের বিয়ে বন্ধ করলো পঞ্চম শেণির ছাত্রী