ভবদহ অঞ্চল রক্ষার দাবিতে চার দিনব্যাপী পদযাত্রা শুরু

ভবদহ অঞ্চল রক্ষার দাবিতে চার দিনব্যাপী পদযাত্রা যশোরের ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার সমাধানে আগামী ৩১ জানুয়ারির আগেই বিল কপালিয়ায় জোয়ারাধার (টিআরএম-টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট) বাস্তবায়নের দাবিতে চার দিনব্যাপী ভবদহ পদযাত্রা শুরু হয়েছে।



ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির ডাকে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভবদহ স্লুইসগেট এলাকা থেকে ভবদহ পদযাত্রা শুরু হয়। প্রায় ১০০ কিলোমিটার হেঁটে আগামী রবিবার (১৯ নভেম্বর) যশোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ পদযাত্রা শেষ হবে।
বেলা ১১টার দিকে ভবদহ স্লুইসগেটের পাশে এ পদযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ, সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, যুগ্ম সমন্বয়ক বৈকুন্ঠ বিহারী রায়, সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল, মণিরামপুর উপজেলার আহ্বায়ক গাজী আব্দুল হামিদ, কেশবপুর উপজেলার আহ্বায়ক আবু বক্কার সিদ্দিক, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অনিল বিশ্বাস, নারী নেত্রী অরুণা চৌধুরী, শিবতোষ মণ্ডল বাপ্পী, মাসুদ হাসান, শিবপদ বিশ্বাস প্রমুখ। 
বক্তারা অবিলম্বে ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান। এরপর ভবদহ পদযাত্রা শুরু হয়। 
বিকাল ৫টার দিকে সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব চৈতন্য পাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পদযাত্রাটি বর্তমানে অভয়নগর উপজেলার ডুমুরতলা এলাকায় রয়েছে। রাতে তারা মণিরামপুর উপজেলার মশিয়াহাটিতে অবস্থান করবে। শুক্রবার ফের পদযাত্রা শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, সংগ্রাম কমিটির বিল কপালিয়ায় টিআরএম’র গৃহীত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়ন, আমডাঙ্গা খাল সংস্কার, ভবদহ স্লুইসগেটের ২১ ও ৯ ভেন্টের মাঝ দিয়ে সরাসরি নদী সংযোগ; হরিহর, আপারভদ্রা ও বুড়িভদ্রায় জরুরি ভিত্তিতে পুনঃখনন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্কার কাজে দুর্নীতির বিচার; এলাকার সব নদী-খাল পুনরুদ্ধার ও অবমুক্ত এবং প্রবাহে প্রতিবন্ধক সকল পাটা, জাল, শেওলা অপসারণ; মানবিক বিপর্যয় রোধে খাদ্য-নিরাপত্তা ও চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা এবং অপরিকল্পিত ঘের নয়, পানিপ্রবাহে সকল বাধা উচ্ছেদ এবং ঘের সংক্রান্ত একটি সরকারি নীতিমালা প্রণয়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।