মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির এ এম ডি মোহম্মদ ওমর ফারুক, সিইও অমল কান্তি, সি এফ মামুন খান, ডিএমডি মোহম্মদ মিজানুর রহমান এবং কোম্পানির আরসি মোহম্মদ হাবিবুর রহমান।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসান সিরাজ সুজা জানান, মামলার বাদী আব্দুল সর্দার ও মশিউর রহমানসহ ২৮ জন গ্রাহক বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে ১০ বছর মেয়াদী জীবনবীমা পলিসি গ্রহণ করেন। বাদীসহ অন্য গ্রাহকরা ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিয়মিত পলিসির অর্থ ইন্সুরেন্সে জমা করতে থাকেন যার পরিমাণ মোট ৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৯৬টাকা। ১০ বছর মেয়াদ পার হলে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিদের স্বাক্ষরিত নির্বাহী রশিদ পান। সে সময় জানানো হয় গ্রাহকদের মুনাফাসহ জমাকৃত টাকা এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু তারা গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। এ বছর ৬ জুলাই আসামিরা মাগুরা চৌরঙ্গী মোড়ে এরিয়া অফিস পরিদর্শন করতে আসলে খবর পেয়ে বাদীসহ অন্য গ্রাহকরা অফিসে এসে তাদের বকেয়া টাকা ফেরত চায়। এ সময় আসামিরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই ৩৮ জন গ্রাহকের ৮ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকা প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্বপন পান্ডে নামে একজন গ্রাহক বাদী হয়ে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করলে সে মামলাতেও আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ মামুন।