খুলনা-কলকাতা ‘বন্ধন এক্সপ্রেসে’ ভাড়া বেশি, তাই যাত্রী কম

খুলনা স্টেশনে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ (ফাইল ছবি)

কলকাতা-খুলনা-কলকাতা রুটে মৈত্রী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চালু হলেও খুব বেশি যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে যাত্রী কম বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা। উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দ্বিতীয়বারের মতো কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করবে ট্রেনটি। বুধবার দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ট্রেনটির ৪৫৬ আসনের মধ্যে মাত্র ১১২ টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। যা মোট সিটের চার ভাগের একভাগেরও কম।

খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বন্ধন এক্সপ্রেস দ্বিতীয় বারের মতো কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করছে। খুলনা থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য টিকিট সংগ্রহ করেছেন ১১২ জন। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে যাত্রী কম হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্ধন এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রায় ২৫৩ জন যাত্রী ছিল। ১৬ নভেম্বরের ওই যাত্রায় প্রথম ভ্রমণের সাক্ষী হতে উৎসুক যাত্রী ছিল বেশি। তারা ভাড়ার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। অনেকেই শখ মেটাতে প্রথম যাত্রায় যাত্রী হয়েছিলেন।’ এদিকে কলকাতা থেকে ফেরার সময় বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিল মাত্র ৫৩ জন।

প্রথম যাত্রার সাক্ষী যাত্রী চঞ্চল বিশ্বাস বলেন, ‘আমি প্রায়ই কলকাতায় যাতায়াত করি। বন্ধন এক্সপ্রেসে সুবিধা বেশি হলেও ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে এই ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করা যাবে না।’

তামিম নামে যাত্রী জানান, টিকিটের মূল্য বেশি। তারপর ভারতীয় কাস্টমসে বিড়ম্বনা আছে। এ কারণে আগামীতে ট্রেনে যাত্রা না করার ব্যাপারে ভাবতে হচ্ছে।

ঢাকার বাসিন্দা শেখ নুরুল ইসলাম ওয়াহিদ বলেন, ‘ঢাকা-কলকাতা রুটে চেয়ার সিট ভাড়া ১৩শ’ টাকা হলে খুলনা-কলকাতা রুটে এক হাজার টাকা ভাড়া অতিরিক্তই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেন যাত্রা আরামদায়ক হলেও বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী ভোগান্তি হচ্ছে। সেখানে ১৩টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকলেও সক্রিয় রয়েছে মাত্র ৭টি। আর মালামালসহ ট্রেন থেকে নেমে রোগী ও বয়স্ক যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে কষ্ট করতে হচ্ছে।’

ময়লাপোতা এলাকায় বসবাসরত বোনের বাড়িতে বেড়াতে কলকাতা থেকে আসা পারভেজ আলমও বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভোগান্তি ও ট্রেনের ভাড়া কমানোর কথা বলেছেন।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ:

‘বন্ধন এক্সপ্রেসে’ যাত্রী চলাচল শুরু বৃহস্পতিবার

২৫৩ যাত্রী নিয়ে কলকাতা যাচ্ছে বন্ধন

কলকাতা থেকে ৫৩ যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশে এলো 'বন্ধন এক্সপ্রেস'