টার্কির খামার গড়ে স্বাবলম্বী

দেলোয়ার হোসেনমাস্টার্স পাস করে চাকরির আশায় বসে থাকেননি দেলোয়ার হোসেন। একটি কোচিং সেন্টার চালানোর পাশাপাশি ২০১৭ সালের শুরুতে এবি ফার্ম নাম দিয়ে শুরু করেন টার্কি চাষ। এখন তিনি স্বাবলম্বী। দেলোয়ার ঝিনাইদহের শৈলকুপার আব্দুল হকের ছেলে।  

৬ হাজার টাকা দিয়ে দুইটি টার্কি কিনে চাষ শুরু করেন তিনি। এখন তার খামারে টার্কির সংখ্যা ২ শতাধিক। যার দাম ৭ লক্ষাধিক টাকা। টার্কির সুস্বাদু মাংস, ডিম ও বাচ্চা কিনতে দেলোয়ারের খামারে ভিড় থাকে প্রতিদিন।

দেলোয়ার জানান, বছর শেষ না হতেই তার হাতে এখন ৭ লাখ টাকার পুঁজি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। তার কাছ থেকে বাচ্চা নিয়ে অনেক সৌখিন খামারি ছোট আকারে টার্কি পালন শুরু করেছেন। ময়ূরের মতো লেজ ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় টার্কি। এর মাংস খেতে সুস্বাদু। পাশাপাশি তিনি তিতির পাখিও পুষতে শুরু করেছেন।

টার্কির বাচ্চা ফোটাতে নিজেই একটি ইনকিউবেটর যন্ত্র তৈরি করেছেন।তার দেখাদেখি শৈলকুপার বাগুটিয়া, সাধুহাটি, মজুমদারপাড়া, গোবিন্দপুরে গড়ে উঠেছে টার্কি ফার্ম।

টার্কির খাবার ও রোগবালাই নিয়ে মুরগির চেয়ে দুর্ভাবনা কম। ৬ মাসের মধ্যে ডিম দিতে শুরু করে। এরা ঠান্ডা-গরম সব সহ্য করতে পারে। ধান, গম, ভুট্টাসহ দানাদার খাবারের চেয়ে সাধারণ প্রাকৃতিক খাবার কস্তুড়ি, কলমির শাক, বাঁধাকপি, ঘাস এসব বেশি পছন্দ করে বলে জানান দেলোয়ার।

প্রতিটি টার্কির ওজন কমপক্ষে ৭ কেজি হয়। এক জোড়া টার্কি বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।

ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে ওঠার ছয় মাসের মধ্যেই ডিম দেয় টার্কি। প্রতিটি টার্কি বছরে ২৩০টির বেশি ডিম দেয়। ছয় মাসের মুরগি টার্কির ওজন হয় পাঁচ থেকে ছয় কেজি। আর মোরগ টার্কি হয় প্রায় আট কেজি। মুরগির মাংসের মতো করেই টার্কি রান্না করা হয়। রোস্ট ও কাবাবও করা যায়।

শৈলকুপা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, টার্কি চাষ করে সহজেই স্বাবলম্বী হওয়া যায়। যারা টার্কি চাষ শুরু করেছেন, তাদেরকে রোগ-বালাই সম্পর্কে আমরা সচেতন থাকতে সহযোগিতা করছি।