আ.লীগ নেতা হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের ফাঁসির আদেশ

আদালতখুলনায় ৯ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। নড়াইলের ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবাস রায় (হানু) হত্যা মামলায় এই রায় দেওয়া হয়েছে। ভদ্রবিলার ইউপি চেয়ারম্যানসহ মামলার আসামিরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের কর্মী। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবদুর রব হাওলাদার এ রায় দেন।  

সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছে- শাহীদুর রহমান মিনা ওরফে শহীদ, মো. ইলিয়াস মিনা, মো. আশিকুর মিনা, রাসেল মিনা, এনায়েত মোল্লা, ইয়াসিন মোল্লা, মামুন মিনা, বাশার মোল্লা, রবিউল মোল্লা। এসময় কাঠগড়ায় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। শাহীদুর ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, বাকিরা বিএনপি-জামায়াতের কর্মী। প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

ইউপি নির্বাচনে বিরোধের জের ধরে ওই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। প্রবাস রায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলেন। আ.লীগ প্রার্থী হেরে গেলেও জয়ী হয় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী।  

হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরই শাহীদুর রহমানকে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে প্যানেল মেয়র ভদ্রবিলায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর সরস্বতী পূজা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন প্রবাস রায়। নড়াইলের ভদ্রবিলায় বাড়ির কাছেই মিরপাড়া এলাকায় ফারুকের চায়ের দোকানের সামনে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে পরদিন ২ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

প্রবাস রায়ের স্ত্রী টুটুল রাণী রায় বাদী হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে ২২ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দেয়। মামলা নড়াইল থেকে খুলনায় আসে ১৩ জুন। পরে ৩ জুলাই চার্জ গঠনের পর বিচার শুরু হয়। আজ রবিবার মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।  

এই মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর শেখ এনামুল হক। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রজব আলী, অ্যাড. মনজুর আহমেদ, অ্যাড. এস এম মুজিবুর রহমানসহ অনেকে।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত সাজা কার্যকরের আশা প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষ।