গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কালীগঞ্জের চাষিরা

টমেটো ক্ষেতের পরিচর্যায় কৃষক শুকুর আলী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। টমেটো চাষ লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। টমেটোর ফলন এবং দাম দুটিই ভালো হওয়ায় তারা বেজায় খুশি। তাদের এ সাফল্য দেখে অন্য চাষিরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের বহিরগাছী গ্রামের মনির আহম্মেদের ছেলে শুকুর আলী গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। লিজ নেওয়া ২৩ শতাংশ জমিতে বারি-৪ জাতের টমেটো চাষ করে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা পাচ্ছেন।

তিনি জানান, জমি প্রস্তুত, সার, ওষুধ ও পরিচর্যা বাবদ তার ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন তিনি। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে আরও ৫০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন।

শুকুর আলী বলেন, ‘সব খরচ বাদে কমপক্ষে লাখ ৭০ হাজার টাকা আয় হবে এবার।’

টমেটো ক্ষেত পরিদর্শনে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারাউপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিদুর রহমান জানান, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ বেশ লাভজনক। কৃষি অফিস কৃষকদের টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে। উপজেলায় প্রায় পাঁচ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হচ্ছে। উপজেলার রাখালগাছি, মালিয়াট, সিমলা-রোকনপুর ও বারোবাজার অঞ্চলে এ টমেটো চাষ হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, সাধারণত মার্চ মাসের প্রথম দিকে বীজ বপন করতে  হয় এবং মে মাসে ওই চারা  ক্ষেতে রোপন করতে হয়। জুন-জুলাই মাসে ফল আসতে শুরু করে। একাধারে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত টমেটো পাওয়া যায়।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ বেশ লাভজনক। এ টমেটো সংগ্রহের প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। সারা বছর সবজির চাহিদা পূরণ  করতে গ্রীষ্মকালীন উদ্ভাবিত বারি-৪ জাতের টমেটো চাষ করতে পরামর্শ দেন তিনি। সাদা পলিথিনের ছাউনি দিয়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ খুবই সহজ। উপজেলা কৃষি অফিস টমেটো চাষিদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।