সাইম ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ১২ নম্বর লস্কারদিয়া ইউনিয়নের আজিয়া গ্রামে। বাবার নাম আজম খান ও মায়ের নাম হাবিবুন্নাহার।
শৈলকূপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা লাশ থানায় নিয়ে এসেছি। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
পুলিশ জানিয়েছে, লাশের পাশে একটি ডায়রিতে লেখা ছিল- ‘আমি পুরা ছন্নছাড়া হয়ে পড়ছি, আমায় বেঁধে রেখো।’ ডায়রির আরও তিন পৃষ্ঠাজুড়ে লেখা ছিল- ‘আজ আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, আমি হয়তো তোমার জীবন নষ্ট করে দেবো। তোমায় কি কোনও দিন সুখে রাখতে পারবো, জানি না— আমি তোমার জন্য ঠিক কি না। বাবু তোমায় অনেক ভালোবাসি। যেই দিন শেষ প্রশ্বাস নেব এই দিন তোমায় হয়ত একটু বোঝার সুযোগ দিব যদি বুঝতে পারো বুঝে নিও এই দিন।’
সিয়ামের সহপাঠী মুজাম্মেল ও শিহাব বলেন, গত কয়েকদিন যাবত সে হতাশায় ভুগছিল। আমাদের সঙ্গে তা শেয়ারও করেছিল। তবে, এরকম কিছু করবে আমরা বুঝিনি। সে সব সময় একাকী থাকলেও সোমবারও বৈশাখী মেলার শেষদিন আমাদের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার আরেক বন্ধু জানান, ফরিদপুর সরকারি সারদী সুন্দর কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের এক মেয়ের সঙ্গে সাইমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।