তথ্য গোপনের অভিযোগে খালেকের শুনানি সম্পন্ন

তালুকদার আব্দুল খালেকখুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের শুনানি বৃহস্পতিবার বিকালে সম্পন্ন হয়েছে। বিকাল ৩টায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইনজীবীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেন এবং তার পক্ষে তথ্য গোপন হয়নি বলেই যুক্তি উপস্থাপন করেন। এসময় অভিযোগকারী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও তার পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি শেষে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল বোর্ডে উপস্থাপন করেছি। আপিল বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে। এভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে ভোটের ময়দানে আসুন। ভোটে জনতাই ঠিক রায় দেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমার দেওয়া অভিযোগের ব্যাপারে শুনানির দিন ধার্য হলে মঞ্জুকে ডাকার সঙ্গে আমাকেও জানাবে।’

বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম মঞ্জু শুনানি শেষে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ব্যাংক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মকর্তারা লিখে দিলেই সেটা গ্রহণযোগ্য হয় না। সে জন্য প্রতিষ্ঠানের হিসাব ও লেনদেনের নথিপত্র দেখা প্রয়োজন। আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল বোর্ডে সে আবেদনই জানিয়েছি। আপিল বোর্ড যৌক্তিক বিষয়গুলো আমলে নিয়েছেন। আশা করছি, আপিল বোর্ড সন্তোষজনক রায় দেবেন।’

আপিল বোর্ডের প্রধান খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হাকিম জানান, শুনানি শেষ হলেও এখনও কিছুটা সময় আছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাব। কাউন্সিলর পদে বাতিল হওয়া ২৫ জন আপিল করেছেন। এদের মধ্যে ১৯ জনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ছয় জনের শুনানিও সম্পন্ন করা হবে।