খুলনার নগরপিতা তালুকদার খালেক

তালকুদার আব্দুল খালেক
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ৬৫ হাজার ৬০০ ভোটের বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। জেলা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৮৬টির ফলাফলে খালেকের প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট।

এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী এস. এম. শফিকুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৭২ ভোট।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের সোনাডাঙ্গা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রভিত্তিক বেসরকারি এই ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী।

ইউনুচ আলী জানান, তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীকে লড়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট।

বেসরকারিভাবে বিজয়ী হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাকে নির্বাচিত করায় খুলনাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। এটি উন্নয়নের বিজয় হয়েছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমি খুলনার উন্নয়ন করে যেতে চাই।’ একইসঙ্গে তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে মেয়র পদে নির্বাচন করতে আদেশ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এসময় তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। পরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গেলে সেখানেও তাকে আনন্দে উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

ফলাফল ঘোষণাএদিকে, বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘জালিয়াতি, কারচুপি, ভোট ডাকাতির ফলাফল খুলনাবাসী মেনে নেবে না। নির্বাচন নিয়ে খেলা করার দরকার ছিল না। এ নির্বাচন না হলে তো সমস্যা ছিল না।’

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘এ ধরনের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না। তারা চর দখলের মতো ভোট কেন্দ্রও দখল করে নেয়।’

মঞ্জু বলেন, ‘পুলিশের সামনে নৌকার লোকজন কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে। ধরাও পড়েছে। অথচ তারা কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের লোকজনও এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’

ফল ঘোষণার চিত্রমঙ্গলবার (১৫ মে) সকাল ৮টায় মহানগরীর ভোটকেন্দ্রগুলোয় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোট স্থগিত হয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোটাররা প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ১৫৬১টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবারের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন এবং নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

আরও পড়ুন: 

কারচুপির নির্বাচনের কারণে গণতন্ত্র আরও সংকটে পড়বে: মঞ্জু

মঞ্জুকে পাশে নেবেন খালেক