কেসিসিতে জাপা মেয়র প্রার্থীর জামানত হারানোর ৫ কারণ

খুলনা জাতীয় পার্টির সংবাদ সম্মেলনখুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে জাপা মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক ৫ কারণে জামানত হারিয়েছেন। কারণগুলো হচ্ছে দলীয় কর্মীদের সাথে সম্পর্ক না থাকা, স্থানীয় ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে জড়িত না থাকা, নারী কেলেঙ্কারি,চাঁদাবাজি ও ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামি।

সোমবার খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাপা মহানগর শাখার সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মোল্যা শওকত হোসেন বাবুল। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সদ্য সম্পন্ন হওয়ায় কেসিসি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ন্যাক্কারজনক পরাজয়ের দায়ভার প্রার্থীকেই বহন করতে হবে। মুশফিক দুষ্টু প্রকৃতির। তার বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা রয়েছে, ফাঁসিরও আসামি সে। নারীঘটিত অভিযোগসহ দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে মেয়র প্রার্থী ২০/২২ লাখ টাকা দেওয়ার দাবিও কল্পকাহিনী বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।  নৈতিক অধঃপতনজনিত কারণে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে তার পক্ষে অংশ নেয়নি। মুশফিকুর রহমান রাতারাতি শফিকুর রহমান সেজে নিজের নাম ও জন্ম তারিখ ভুল লিখে নির্বাচন কমিশনে কাগজপত্র জমা দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। যা ক্ষমার অযোগ্য।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় পার্টি চেয়াম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের লেখা আটটি বইয়ের প্রকৃত লেখক দলের প্রেসিডিয়ামের সদস্য সুনীল শুভ রায় বলে মুশফিকুর রহমান যে দাবি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

সংবাদ সম্মেলনে জাপা মহানগর শাখার সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ খায়রুল ইসলাম, শরিফ মো. শাহজাহান, তোবারেক হোসেন তপু, প্রিন্স হোসেন কালু, সেলিম শিকদার, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, মো.কালাচান, শহিদুল ইসলাম, জাকিরুল ইসলাম জাকির, শেখ পিয়াস বাবু, মো.কামরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন লালু, আলাউদ্দিন ফকির, মো.রাসেল হোসেন, শাকিল আহমেদ লাল, শেখ সাহিদ আলম, গোলাম রব্বানি মুন্না, তনয় খান, গাজী মোশারফ হোসেন, মো. আলী, মাহবুব আলম, মো. আরিফ হোসেন, শেখ এনাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।