খুলনায় রমজানের পর টিসিবি’র নিষ্ক্রিয় ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশনিয়মমাফিক পণ্য উত্তোলন না করা ও সরকার ঘোষিত কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় থাকা ডিলারশিপ বাতিল করার পরিকল্পনা নিয়েছে খুলনা টিসিবি’র (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, নিষ্ক্রিয় ডিলারদের বিরুদ্ধে রমজানের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. রবিউল মোর্শেদ বলেন, ‘ডিলাররা লোকসানের ভয়ে পণ্য উত্তোলন করতে চায় না। তাদেরকে পণ্য উত্তোলনের জন্য নিয়মিত চাপ দিতে হয়। কিন্তু কোনও কাজ হয় না। এবার রমজান মাস পর্যবেক্ষণে নেওয়া হচ্ছে। রমজান শেষে নিষ্ক্রিয় ডিলারদের ডিলারশিপ বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযোগে জানা গেছে, আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন ডিলাররা লোকসানের আশঙ্কায় পণ্য উত্তোলন করেন না। আবার পণ্য উত্তোলন না করলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ দুর্বলতার কারণে ডিলাররা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে রমজানের পর এ ধরনের ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন টিসিবি কর্মকর্তা।

জানা গেছে, পণ্যদ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে খোলা বাজারে নায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। এই পণ্য বিক্রির জন্য টিসিবি’র রয়েছে নিজস্ব বিপণন কেন্দ্র এবং অনুমোদিত ডিলার। কিন্তু টিসিবি’র পণ্যের মূল্য চলমান বাজার মূল্যের থেকে সামান্য বেশি হলে পণ্য উত্তোলন করেন না ডিলাররা। তখন পণ্য বিক্রির জন্য বিপাকে পড়তে হয় টিসিবি কর্মকর্তাদের।

টিসিবি নিয়মানুযায়ী কোনও ডিলার পরপর দুইবার পণ্য বিক্রির জন্য উত্তোলন না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কথা। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে পণ্য উত্তোলন না করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

সূত্রে জানা গেছে, টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় বর্তমানে ৪৫৬ জন ডিলার রয়েছে। কিন্তু খুলনা সিটি ও যশোরসহ অন্যান্য জেলায় এ ধরনের ডিলার রয়েছে অর্ধশত। কিন্তু রমজান উপলক্ষে বিক্রির জন্য কোনও ডিলারই পণ্য উত্তোলন করেনি। গত রমজান, ঈদুল আজহা এবং তার পরবর্তী সময়ে পণ্য বিক্রির সময়েও দেখা মেলেনি তাদের। পাওয়া যায়নি কোনও ট্রাকসেলও। এ কারণে টিসিবি’র পণ্য মজুদ হয়। নতুন করে যোগ হয় বরাদ্দ।

রমজানের আগে টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ে সয়াবিন তেল মজুদ ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার লিটার। রোজা উপলক্ষে নতুন করে বরাদ্দ পেয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার, চিনি ৩৫১ মেট্রিক টন, ছোলা ৩২৫ মেট্রিক টন, মশুর ডাল ২৭০ মেট্রিক টন এবং খেজুর ১০ মেট্রিক টন।

মেসার্স সেলিম ট্রেডার্সের মালিক মো. সেলিম বলেন, ‘এবার ঠিকমতো পণ্য উত্তোলন করছি। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। কোনও পণ্য অবশিষ্ট থাকছে না।’