বহিষ্কার করায় শিক্ষককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

খুলনাপরীক্ষায় নকল করার দায়ে বহিষ্কার করায় খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অমল কৃষ্ণ রায়কে (৩৮) কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে কলেজের আইপিসিটি বিভাগের ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টার দিকে কলেজ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই আহত শিক্ষককে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

আহত শিক্ষক খালিশপুর হালদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ভবরঞ্জন রায়ের ছেলে। অভিযুক্ত আজিজুর রহমান খুলনার দৌলতপুরের রেজাউল ইসলামের ছেলে।  

আহত শিক্ষক অমল কৃষ্ণ রায় জানান, রবিবার (২৭ মে) পরীক্ষায় নকল করায় বহিষ্কার করার পর তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় কলেজের আইপিসিটি বিভাগের ৬ষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান। বিষয়টি তিনি কলেজের প্রিন্সিপাল নুরুজ্জামান প্রামাণিককে লিখিতভাবে অবহিত করেন। এরপর একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে যায় এবং বহিষ্কার প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেয়। মঙ্গলবার কলেজ শেষে বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার সময় কলেজ গেটে মুখোশ পরা ৭-৮ জন যুবক তার ওপর ধারালো চাইনিজ কুড়াল, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।

কলেজের মেকানিক্যাল বিভাগের প্রধান আ. গনি জানান, কলেজ থেকে বের হয়ে গেটের সামনে এলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় কয়েকজন। হামলাকারীরা মুখোশ পরা ছিল। কয়েকজন কলেজের ড্রেস পরা অবস্থায় ছিল।

কলেজের প্রিন্সিপাল নুরুজ্জামান প্রামাণিক বলেন, ‘নকলের দায়ে বহিষ্কার করা ছেলেটি ওই শিক্ষককে হুমকি দিচ্ছিল। এরপর বাসায় গিয়েও তাকে হুমকি দেয়। হামলা ঘটনার বিষয়টি খালিশপুর থানা, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার ও ডিসিকে অবহিত করা হয়েছে।’

খালিশপুর থানার ওসি সরদার মোশারফ হোসেন জানান, ঘটনার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলার শিকার ওই শিক্ষক কাউকে চিনতে পারেনি। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।