ভাতার লোভে ইউপি মেম্বারের প্রতিবন্ধী কার্ড!

খুলনার মোংলায় সাবেক এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে ভুয়া নথির ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী কার্ড নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভাতার লোভে উপজেলার সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে নিজের নামে কার্ড করিয়ে নিলেও রেজি সরকার নামের ওই সাবেক ইউপি মেম্বার কার্ডের জন্য আবেদন করার কথা অস্বীকার করছেন। তবে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার আবেদনের সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত সাবেক ইউপি মেম্বার দাবি করেছেন, তার নামে যে প্রতিবন্ধী কার্ড রয়েছে তিনি নিজেও জানেন না। ষড়যন্ত্র করে তার প্রতিপক্ষ বর্তমান ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিক এটি করিয়েছেন।41849036_297826674349460_1398010385969184768_n

উপজেলার মালগাজীর বাসিন্দা সুধির সরকারের ছেলে রেজি সরকার ১ নং চাঁদপাই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চারবারের দায়িত্ব পালনকারী ইউপি মেম্বার। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইউপি মেম্বার থাকাকালীন তিনি সমাজ সেবা কর্মকর্তা হাসিবুর রহমানকে ম্যানেজ করে প্রতিবন্ধী কার্ড করিয়েছেন। ওই প্রতিবন্ধী কার্ডের আইডি নম্বর-১৯৬৮০১১৫৮২৩৩৬১৯৯৫-০২।

ভাতার এ কার্ড প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বিতরণের সময় সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয় ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেছেন, মোংলা উপজেলার সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে গতকাল রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ১০টি কার্ড প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য তিনি উত্তোলন করেন। সেসময়েই সাবেক মেম্বার রেজি সরকারের নামে থাকা কার্ডটি তিনি দেখতে পান। পরে বিষয়টি সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হাসিবুর রহমানকে জানালে তিনি দাবি করেন, বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতেই ওই প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রেজি সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কীভাবে কার্ড হলো তা আমার জানা নেই। সম্ভবত স্বাক্ষর জাল করে এটি বর্তমান মেম্বার জাহাঙ্গীর মল্লিক করিয়েছেন।’ 
সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসিবুর রহমানের ভাষ্য, রেজি সরকার চিকিৎসকদের দেওয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তার নামে প্রতিবন্ধী কার্ড ইস্যু করা হয়। প্রতিবন্ধী না হয়েও ভাতা নেওয়ার জন্য যদি তিনি এ কার্ড করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেছেন, ‘যদিও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের, তারপরও আমি এ বিষয়ে খোঁজ নেব।’