কর্মচারীকে মারধরের জেরে দুই ঘণ্টা আমদানি-রফতানি বন্ধ

 

বেনাপোল স্থলবন্দরভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশি এক সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই ঘণ্টা আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকে। পরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের উভয় দেশের প্রতিনিধি বিষয়টির মীমাংসা করার পর আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন জানান, বেনাপোলের এম আর ট্রেডিং ফ্রেশ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফের কর্মচারী শাহ আলম (৩০) বিকাল ৪টার দিকে পেট্রাপোল বন্দরে যান। সেখানে রফতানি পণ্যের ট্রাক ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা তাকে বেদম মারধর করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের চেকপোস্টে কর্মরত কর্মচারীরা উত্তেজিত হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করে। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং সে দেশের সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা প্রাথমিক আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশি সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী শাহ আলমকে ফেরত দেন। এরপর বিকাল সাড়ে সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের বনগাঁও মোটর শ্রমিক নেতা প্রভাস কুমার শাহ আলমকে ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশে এলে উত্তেজিত বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা তাকে মারধর করে। এ সময় দু‘দেশের মধ্যে সব ধরনের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বেনাপোল চেকপোস্ট ও পেট্রাপোল চেকপোস্টে কয়েকশ সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিজিবি ও বিএসএফ তাদের সরিয়ে দেয়।