সূর্য ওঠার আগেই জেলেরা সাগর মোহনায় এসব মাছ শিকার করেন। তারপর তা রোদে শুকিয়ে শুঁটকি প্রক্রিয়া করা হয়। এভাবেই শুঁটকি হয় সাগরপড়ের দুবলা, মেহের আলী, আলোরকোল, অফিস কিল্লা, মাঝির কিল্লা, শেলার চর, নারকেল বাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিক খালী, কবরখালী ও চাপড়া খালীস, কোকিলমনিসহ ১৫টি চরাঞ্চালে। এখানকার এ শুঁটকি তৈরির কারিগর ইস্রাফিল, এনামুল, সবুজ, নুর আলম ও শহিদ মল্লিকসহ একাধিক জেলে বাংলা ট্রিবিউনকে শুটকি তৈরির এসব কথা বলেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ দেখতে দুবলার জেলে পল্লীতে পরিদশর্নে গিয়েছি। সেখানে জেলেরা শুঁটকি তৈরিতে এরই মধ্যে সাগর পাড়ের চরে ঘর তৈরি করে থাকছেন। দিন-রাত এসব জেলেরা সাগরে নেমে মাছ সংগ্রহ করছেন এবং একই সঙ্গে তা শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করছেন। জেলেদের জন্য আমরা ১ হাজার ২৫টি ঘর বরাদ্দ দিয়েছে। জেলেরা যেন কোনও রকম অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য আমাদের তদারিক বাড়ানো হয়েছে।’
মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবারের শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ থেকে রাজস্ব আদায় বেশি হবে।’
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফ (সহকারী বন সংরক্ষক) জয়নাল আবেদীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মোংলা থেকে নদী পথে দুবলা জেলে পল্লীর দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। সুন্দরবন সংলগ্ন এ পল্লীর সব কর্মকাণ্ড জেলেদের ঘিরে। সুন্দরবন অভ্যন্তরের ১৩টি মাছ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র নিয়ে গঠিত দুবলা জেলে পল্লী । এবারের জেলে পল্লী থেকে রাজস্ব আদায় বেশি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলেরা এরই মধ্যে বাগেরহাট ডিএফও এবং শরণখোলা রেঞ্জ অফিস থেকে বিএলসি (বোট লাইসেন্স) নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর দুবলায় রওনা হয়েছেন। সেখানে অন্তত ৩০ হাজার জেলে জড়ো হবেন।’