মাগুরার আঙ্গরদাহ গ্রামের মৌ চাষি আতিয়ার রহমানের মৌ-খামারে কাজ করেন ১০ জন। সেখানে কাজ শিখতে আসা সাইফুল বলেন, ‘আমি বেকার ছিলাম। আতিয়ার ভাইয়ের মৌয়ের খামারে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি। আমি ১৩০টা মৌ বক্স বসিয়েছি। তা থেকে প্রায় ৬০ মণ মধু সংগ্রহ করবো। আশা করছি আরও ৭০টা মৌ বক্স বসাতে পারবো।’
আঙ্গারদহ গ্রামের অধিবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার গ্রামে আতিয়ার ভাই সরিষা ফুল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মধু সংগ্রহ করছে তা দেখে আমার ভালো লেগেছে। আমি মনে করি মৌ চাষ করলে অনেক বেকার যুবক তাদের আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকতা রুহুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলায় মোট ৪৫ জন নিবন্ধিত মৌখামারি রয়েছে। এ মৌসুমে ১০০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ হবে বলে অমি আশা করছি। বিসিক এর সহযোগিতায় ১২টি ব্যাচে প্রায় ৪৫০ নারী-পুরুষকে মৌচাষে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই মৌ চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। জেলায় ৪৫ জন নিবন্ধিত খামারি ছাড়াও আরও অনেকে মৌচাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাদের সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ সুবিধা দেওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।