মাগুরায় বাড়ছে তরুণ মৌ চাষি

মৌ চাষিমাগুরার মৌ চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন সরিষা থেকে মধু সংগ্রহের কাজে। জেলায় এবার মৌ চাষিদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। মৌ চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার  জেলায় সরিষার উৎপাদনও বেড়েছে। জেলায় এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

মাগুরার আঙ্গরদাহ গ্রামের  মৌ চাষি আতিয়ার রহমানের মৌ-খামারে কাজ করেন ১০ জন। সেখানে কাজ শিখতে আসা সাইফুল বলেন, ‘আমি বেকার ছিলাম। আতিয়ার ভাইয়ের মৌয়ের খামারে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি। আমি ১৩০টা  মৌ বক্স বসিয়েছি। তা থেকে প্রায় ৬০ মণ মধু সংগ্রহ করবো।  আশা করছি আরও ৭০টা মৌ বক্স বসাতে পারবো।’

আঙ্গারদহ গ্রামের অধিবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলমগীর হোসেন  বলেন, ‘আমার   গ্রামে আতিয়ার ভাই সরিষা ফুল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মধু সংগ্রহ করছে তা দেখে  আমার ভালো লেগেছে। আমি মনে করি মৌ চাষ করলে অনেক বেকার যুবক তাদের আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারবে।’

মৌ চাষিআতিয়ার রহমান জানান, সরিষা মৌসুমে বেশি মধু উৎপাদন হয়। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে অনেক কম দামে মধু বিক্রি করতে তারা বাধ্য হন। ফলে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। বর্ষা মৌসুমে সাধারণত মৌমাছির নানা রোগ হয়। এসময় প্রচুর মৌমাছি মারা যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে তারা কোনও পরামর্শ বা সহযোগিতা পান না। চাষিরা নিজস্ব ধারণা থেকে মৌমাছিকে বাঁচিয়ে রাখার নানা কৌশল অবলম্বন করতে হয়। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ সুবিধা পেলে আরও অনেক বেকার যুবক এ পেশায় এগিয়ে আসবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকতা রুহুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলায় মোট ৪৫ জন নিবন্ধিত মৌখামারি রয়েছে।  এ মৌসুমে ১০০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ হবে বলে অমি আশা করছি। বিসিক এর সহযোগিতায়  ১২টি ব্যাচে প্রায় ৪৫০ নারী-পুরুষকে মৌচাষে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই মৌ চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। জেলায় ৪৫ জন নিবন্ধিত খামারি ছাড়াও আরও অনেকে মৌচাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাদের সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ সুবিধা দেওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।