খুলনায় অধিকাংশ কেন্দ্র ভোটার শূন্য

01খুলনার আট উপজেলায় রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে একযোগে ৪৭৭টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কিন্তু সকার ১০টা পর্যন্ত অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। সকালের প্রথম দেড় ঘণ্টায় পাঁচ ভাগ ভোট পড়ে।
বটিয়াঘাটা উপজেলার মুহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রূপসার নবীনগর ইসলামিক মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইলাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রূপসা কলেজ, বাগমারা সরকারি প্রাথমিক স্কুল, নৈহাটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, দিঘলিয়ার খানাবাড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, তেলিগাতী প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ভোটারদের উপস্থিতি না থাকায় কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে।
রূপসার নৈহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, প্রথম ঘণ্টায় ৭৮টি ভোট পড়েছে। মোট ভোটার ২ হাজার ৬১৯।
রূপসার নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার দিপঙ্কর কুমার দাস জানান, প্রথম ঘণ্টায় ৮টি কক্ষে ৩০টি ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৬৬৭।
রূপসা কলেজের মহিলা কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৮৭টি ভোট পড়ে বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার নজিবুর রহমান। এ কেন্দ্র মোট ভোটার ৩ হাজার ৯৩১ জন। এ কলেজের পুরুষ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮৯টি বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার নিত্যানন্দ মণ্ডল। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪৫১ জন।
02এদিকে ভোটার উপস্থিতি না থাকায় নির্বাচনি কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্টসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অনেকটা অলস সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে আবার গল্প করে সময় পার করছেন।
খুলনার ৯ উপজেলার ৮টিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭ মার্চ নৌকা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দ্বে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাচন ১০ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। যার কারণে রবিবার ডুমুরিয়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে বটিয়াঘাটা ও ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ও দাকোপে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খুলনার ৬৫ শতাংশ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন।
খুলনার ৮টি উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪৭৭টি। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্পর্শকাতর এলাকা ও দূরবর্তী স্থান বিবেচনায় এরমধ্যে ২৯৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ আর ১৮৩টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যা মোট ভোটকেন্দ্রের প্রায় ৬৫ শতাংশ।
খুলনা জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ওয়াস) আব্দুর রশীদ বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুলনার ৮ উপজেলায় ২১ হাজার পুলিশ, ৪ হাজার ৬৯২ আনসার, ২৪ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ১৮টি পেট্রোল পার্টি ও ২০৭ জন কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করছেন। ’