ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যায় একজনের ফাঁসি

আদালত

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী সুরুজ আলীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজি এ রায় দেন।

সুরুজ আলী হরিনাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বরকত আলীর ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী চম্পা খাতুনকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে সুরুজ ও তার পরিবার। পরে পুলিশ চম্পার লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করে। ওই সময় হরিনাকুন্ডু থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৪ সালে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে চম্পাকে নির্যাতনের পর হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। এতে ওই বছরের ২১ মার্চ হরিনাকুন্ডু থানায় ৪ জনকে আসামি করে চম্পার ভাই ইদ্রিস আলী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সূত্র আরও জানায়, তদন্ত ও শুনানি শেষে ১নং আসামি সুরুজ আলী দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৩ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। খালাস পাওয়া আসামী বরকত আলী মামলার রায়ের আগেই মারা যায়।