যশোরে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান, পুলিশসহ আহত ৩

যশোর নতুন বাজার এলাকার পৌরস্থাপনা উচ্ছেদ

যশোর শহরের আরএন রোডের নতুন বাজারে পৌরসভার স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশসহ তিন জন আহত হয়েছেন। এসময় তিনটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল ফারুক লিটন সংঘর্ষের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘সামান্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ আহত হননি।’

পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার কামাল আহমেদ জানান, শহরের আরএন রোড এলাকায় নতুন বাজারে যশোর পৌরসভার মালিকাধীন প্রায় ১১০টি ঘর রয়েছে। সেখানে পার্টস, হোটেল ও মুদি ব্যবসায়সহ কাঁচাবাজারের টং ছিল। পৌরকর্তৃপক্ষ সেখানে নতুন স্থাপনা করার লক্ষ্যে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এর আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ সংক্রান্ত চার দফা নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযান চলাকালে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের একটি অংশ পৌরকর্মচারী ও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় রিগান নামে এক পুলিশ সদস্য ও পৌরকর্মচারী আক্তারসহ তিনজন আহত হন। ওই সময় পৌরসভার দুটি গাড়ির গ্লাসসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল ফারুক লিটন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে গত শুক্রবার (১৪ জুন) আমি ব্যক্তিগতভাবে  পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর সঙ্গে কথা বলেছি। তার কাছে তখন সময় চেয়েছিলাম। মৌখিকভাবে তিনি তা মঞ্জুরও করেছিলেন। কিন্তু কোনও নোটিশ ছাড়াই আজ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ কারণে পৌরকর্তৃপক্ষকে নিয়মিত ঘরভাড়া দেয় এমন ৩১ জন এবং টোল প্রদানকারী প্রায় ৮০ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকের পক্ষে মালামাল সরানো সম্ভব হয়নি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘এখানে হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। উচ্ছেদ চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পৌরকর্মচারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে, কেউ আহত হননি।’

যশোর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্তোষ দত্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,‘ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে পৌরসভার দুটি গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি।’

যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই মাহবুব আলম এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘লিটন নামে এক ব্যক্তির ঘর ভাঙার সময় তার নেতৃত্বে কয়েকজন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। সেই সময় পুলিশের নায়েক রিগান আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুকে কয়েকদফা ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে তাকে এসএমএস  করা হয়,  তিনি এর কোনও জবাব দেননি।

তবে, প্যানেল মেয়র (১) মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আজকের উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’