অর্থপাচারের অভিযোগে বেনাপোল তিন কনস্টেবল ক্লোজড

বেনাপোল বন্দর থানাহুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগে বেনাপোল চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন পুলিশের তিন কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদেরকে যশোর পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন)  বিএসএফ  তিন কনস্টেবল ও ইমিগ্রেশনের কর্মচারীকে হুন্ডির সাড়ে ১২ লাখ টাকাসহ আটক করে। ঘণ্টা তিনেক পর পুলিশের তিন সদস্যকে ছেড়ে দিলেও ইমিগ্রেশন কর্মচারীকে চালান দেয় বিএসএফ।

আটককৃতরা হলো- ইমিগ্রেশনের কনস্টেবল আজম উদ্দিন, রুনা ও তৃষা এবং কর্মচারী রুহুল আমীন।

স্থানীয় ও ভারতীয় ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিন বেনাপোল ইমিগ্রেশনে টেন্ডেল হিসাবে কাজ করতেন।  বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের পাশাপাশি লাগেজ ব্যবসা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আজম নামে এক কনস্টেবলের নেতৃত্বে ভারতীয় গেটের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফকে বলে কনস্টেবল রুনা তৃষা ও রুহুল ভারতে যান। এরপর ভারত থেকে ফেরার পথে বিএসএফ তাদের গোপন সংবাদের মাধ্যমে আটক করে তল্লাশি করে। এরপর তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করে বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বসিয়ে রাখে পেট্রাপোল বিএসএফ ক্যাম্পে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা এ ধরনের একটি সংবাদ পেয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের বিএসএফ ক্যাম্পে যাই। সেখানে গিয়ে রুহুল আমিনকে ২ লাখ টাকাসহ বিএসএফ আটক করেছে। আমার পুলিশ কনস্টেবল তিন জন তার সঙ্গে একসঙ্গে ভারতে ফল কিনে আবার তার সঙ্গে ফেরার পথে সন্দেহমূলকভাবে বিএসএফ তাদেরও আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে আমরা বিএসএফ’র সঙ্গে কথা বলে ওই তিন কনস্টেবলকে দেশে ফেরত নিয়ে আসি।’

তিনি আর ও বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করার পর ওই তিন কনস্টেবলকে ক্লোজড করে যশোর পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়। রুহুল আমিনকে টাকা আনার অপরাধে বিএসএফ তাকে ভারতের বনগাঁ থানায় সোপর্দ করেছে।