স্থানীয়দের বিক্ষোভে আবরারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি বুয়েট ভিসি

আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করছেন বুয়েট ভিসি (ছবি– প্রতিনিধি)

স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বুয়েটের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকাল প্রায় ৫টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরার ফাহাদের বাড়িতে প্রবেশের সময় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্থান ত্যাগ করেন তিনি।

বুধবার বিকাল ৪টা ৩৭ মিনিটে রায়ডাঙ্গা গ্রামে উপস্থিত হয়ে আবরারের কবর জিয়ারত করেন ভিসি সাইফুল ইসলাম। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য। কবর জিয়ারতের পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ভিসি। এসময় সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার পদত্যাগ চাইছেন অনেকে, তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা? এর জবাবে ভিসি জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বুয়েট ভিসি (ছবি– প্রতিনিধি)

বুধবার বিকাল ৪টা ৩৭ মিনিটে রায়ডাঙ্গা গ্রামে উপস্থিত হয়ে আবরারের কবর জিয়ারত করেন ভিসি সাইফুল ইসলাম। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য। কবর জিয়ারতের পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এরপরই আবরার ফাহাদের বাড়ির দিকে রওনা হন ভিসি সাইফুল ইসলাম। কিন্তু স্থানীয় নারী-পুরুষ-শিশুদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এসময় আবরার ফায়াজ ও তার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী তমা ভিসি সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু তারা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। এরই মধ্যে স্থানত্যাগ করেন ভিসি সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে ভিসি (ছবি– প্রতিনিধি)

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভিসির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আবরার ফায়াজ ও তমাকে পুলিশ মারধর করে। তারা আবরার ফায়াজ ও তমার ওপর পুলিশি হামলার বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আপনারা ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজগুলো দেখেন। আমি বলতে পারি, পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ মিথ্যা। আবরার ফাহাদের পরিবারের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক পুলিশ। সেখানে এ ধরনের কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি।’