যাত্রীদের অভিযোগ বিরতিহীন বেনাপোল এক্সপ্রেস অতিরিক্ত বিরতি নিয়ে চলছে

বেনাপোল এক্সপ্রেস

বিরতিহীন বেনাপোল এক্সপ্রেস অতিরিক্ত বিরতি নিয়ে চলছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। ট্রেনটি তার সঠিক গতি নিয়ে চলতে পারছে না। বহুল প্রতীক্ষিত এ ট্রেনটি অন্যান্য ট্রেনের মতোই গতানুগতিকভাবেই চলছে। অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং ও নতুন রেলপথ নির্মাণ না করে বিরতিহীন ট্রেন চালুর জন্য এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি বছরের ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেসের’ উদ্বোধন করেন। ৮৯৬ আসনের এই ট্রেনটি প্রতিদিন বেনাপোল স্টেশন থেকে ছেড়ে যশোর, ঈশ্বরদী জংশন ও ঢাকা বিমানবন্দরে সাময়িক বিরতি দিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে থামে। ট্রেনটি প্রতিদিন দুপুর ১টার দিকে বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। তবে ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় যশোর-ঈশ্বরদী ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে বিরতি দেয়। এছাড়াও উন্নত ট্রেন লাইনের অভাবে ট্রেনটি অন্তত আরও ৭/৮ জায়গায় বিরতি দেয়।

বেনাপোল রেলওয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই অঞ্চলের রেললাইনের উন্নয়ন না করে তড়িঘড়ি করে ট্রেনটি চালু করা ঠিক হয়নি। বিরতিহীন ট্রেন চলাচলের জন্য যে মানের ট্রেন লাইন থাকার দরকার সেটি এখানে নেই। সাধারণত এ ধরনের ট্রেন অন্য ট্রেনের চেয়ে একটু বেশি গতিতে চলে। বিভিন্ন স্থানে ক্রসিংয়ের কারণে ট্রেনটি দ্রুত গতিতে চালানো যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ভাবছে রেল কর্তৃপক্ষ।

যাত্রীরা জানান, বিভিন্ন স্থানে দাঁড়ানোর কারণে ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। এ নিয়ে যাত্রী ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

এ বিষয়ে বেনাপোল রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, ‘ট্রেনটি ঠিক নিয়মেই চলছে। তবে চলাচলের সময় অন্য ট্রেনকে সাইড দেওয়ার জন্য কোথাও কোথাও দাঁড় করাতে হচ্ছে। বেনাপোল থেকে যশোর ও যশোর থেকে দর্শনা পর্যন্ত লাইন দিয়ে চলাচল করার সময় এ সমস্যা হয়। এ অঞ্চলের রেল লাইনের উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে এ সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে।

বেনাপোল থেকে যশোর পর্যন্ত বিরতিহীন এ ট্রেনটি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বেনাপোল থেকে যশোর পর্যন্ত এ ট্রেন লাইনে অন্তত ৫০টি লেভেল ক্রসিং আছে। এর অধিকাংশ স্থানে কোনও গেটম্যান নেই।

যশোর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী চাঁদ আহমেদ বলেন, ‘বেনাপোল থেকে যশোর পর্যন্ত মোট ৫০টি লেভেল ক্রসিং আছে। এর মধ্যে বৈধ ৪০ এবং বাকি ১০টি অবৈধ। বৈধ ৪০টি লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে ৩৬টিতে গেটম্যান আছে। বাকি চারটিতে গেটম্যান নেই। সব মিলিয়ে এই রুটে ১৪টি লেভেল ক্রসিংয়ে কোনও গেটম্যান নেই।’