খালেদা জিয়ার পক্ষে কি এখন ৩০ বছরের তরুণীর মতো হাঁটাচলা সম্ভব: হানিফ

কথা বলছেন মাহবুব উল আলম হানিফ (ছবি– প্রতিনিধি)

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিদিন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে কি এখন ৩০ বছরের তরুণীর মতো হাঁটাচলা সম্ভব? উনারা (বিএনপি নেতা) কী ভাবছেন? খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৫ বছরের বেশি। এই বাস্তবতাটা মেনে নিতে হবে। এই বয়সের কারণেই তার শারীরিক অনেক সমস্যা থাকতে পারে।’

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ‘সামাজিক অংশগ্রহণ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে পারেন ডাক্তাররা। তারা বলতে পারেন, একজন রোগী কী অবস্থায় আছেন? চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা আগে যে রকম ছিল, তেমনই আছে। মোটামুটি একটা সহনীয় পর্যায়ে আছে। অবস্থার খুব একটা অবনতি ঘটেছে—এরকম কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। মেডিক্যাল বোর্ডও সেটা বলেনি।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলেছি, একজন কয়েদি হিসেবে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। কারা বিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি করছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতাও নেতিবাচক রাজনীতির জন্য ভীত হয়ে দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সম্প্রতি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা পদত্যাগ করে দল থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমরা যতটুকু শুনেছি, আরও অনেক শীর্ষ নেতাও পদত্যাগের অপেক্ষায় রয়েছেন। তারাও শিগগিরই দল থেকে পদত্যাগ করবেন। কারণ এ দলের শীর্ষ নেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে। দলটির আরেকজন শীর্ষ নেতা দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের অভিযোগে আদালতের দণ্ড নিয়ে বিদেশে পলাতক। এই দলের প্রতি কার আশা থাকতে পারে?’

বিএনপির প্রতি কোনও সুস্থ ও বিবেকবান মানুষের আস্থা-ভরসা থাকতে পারে না মন্তব্য করে হানিফ বলেন, ‘কোনও ভালো মানুষের জায়গাও বিএনপি হতে পারে না। বিএনপির মধ্যে এখন যারা আছেন, এর মধ্যে যারা একটু সুস্থ ও বুদ্ধিমান তারা অনেকটাই কোণঠাসা। তারা এ দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।’

পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হানিফ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসলাম হোসেন, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার মুসতানজিদ, সিভিল সার্জন ডাক্তার রওশন আরা বেগম, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রমুখ।