লাভজনক হওয়ায় মাগুরায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে শিম চাষ

 সিম চাষে ব্যস্ত কৃষক

লাভজনক হওয়ায় মাগুরায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে শিম চাষ। এখানে শিমের উৎপাদন যেমন ভালো হচ্ছে দামও তেমনি ভালো পাচ্ছে কৃষকরা। এছাড়াও মাগুরার শিম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ কারণে খুশি মাগুরার কৃষকরা।

মাগুরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মাগুরায় শিমের চাষ হয়েছে ২৯০ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন হয়েছে ৩৫৫০ মেট্রিক টন শিম যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি।

সদর উপজেলার বেলনগর গ্রামের কৃষক ওহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর আমি ২ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। সেখান থেকে লাভ পেয়েছি প্রায় এক লাখ টাকা। মাঠে আরও শিম রয়েছে যা থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আসতে পারে।

সদর উপজেলার কছুন্দি এলাকার কৃষক আমিনুর বলেন, ‘এ অঞ্চলে শিমের উৎপাদন খুব ভালো। তাই শিম উৎপাদনে এ অঞ্চলের কৃষকরা খুবই আগ্রহী। আমাদের ইউনিয়নের বেশির ভাগ জমিতে শিম চাষ হয়েছে। আমি ৫ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। আশা করছি এ বছর চার লাখ টাকার শিম বিক্রি হবে।

একই এলাকার ওমর আলী বলেন, ‘দশ বছর ধরে শিম চাষ করছি। আগে ছোট জমিতে শিম চাষ করতাম। এখন বর্গা নিয়ে ৬ বিঘা জমিতে শিম চাষ করছি। এবারের উৎপাদন এবং শিমের দামসহ সব কিছুই অনুকূলে।’

মাগুরা বিশ্বরোডে কাঁচা বাজারের আরতদার বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘বরাবরই শিম উৎপাদনে এগিয়ে মাগুরা। প্রতিদিনই কয়েক লাখ টাকার শিম ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এতে একদিকে আমরা যেমন লাভবান হচ্ছি তেমনি কৃষকও পাচ্ছে ন্যায্য দাম।’

কৃষি ও প্রযুক্তি বিষয়ক স্থানীয় এনজিও পল্লী-প্রকৃতির নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, ‘মাগুরার শিম উৎপাদন খুবই সম্ভাবনাময় ব্যাপার। শুধু মাগুরা নয়, সারাদেশের শিমের চাহিদার একটি অংশ পূরণ করছে এখানকার চাষিরা। সরকারি পৃষ্ঠ পোষকতা পেলে মাগুরার কৃষকদের ভাগ্য খুলে যাবে এবং জেলার অর্থনীতির জন্যও মঙ্গলজনক হবে।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,‘এবছর মাগুরায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। শুধু তাই নয়, শিম চাষ মাগুরায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই এর চাষ বাড়ছে। শিম চাষ মাগুরার অর্থনীতিতে  ইতিবাচক প্রভাব আনতে পারে।