মুলা চাষে সফল মাগুরার কৃষক

01এ বছর মুলা চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে মাগুরার কৃষকরা। একদিকে উৎপাদন ব্যয় কম অন্যদিকে বিক্রি মূল্য চাহিদামতো হওয়ায় মাগুরায় বাড়ছে মুলা চাষ। এ বছর মাগুরায় মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই মুলা উৎপাদনে খুশি কৃষকরা।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগেও মাগুরায় মুলা চাষ হতো ১২০ হেক্টর জমিতে। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১০ হেক্টর জমিতে অর্থাৎ পাঁচ বছরে মুলার চাষ দ্বিগুণ হয়েছে মাগুরায়।

সদর উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের কৃষক সাহিদুর মোল্লা বলেন, আমি এ বছর দুই বিঘা জমিতে মুলা চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছি। আশা করছি, আরও ৫০ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করতে পারবো।

সদর উপজেলার কছুন্দি ইউনিয়নের কৃষক তপতী রানী বলেন, আমি এ বছর তিন বিঘা জমিতে মুলা চাষ করেছি। এ থেকে দেড় লাখেরও বেশি টাকা আয় হবে। অথচ আমার উৎপাদন ব্যয় নেই বললেই চলে। লাভের তুলনায় উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ায় মাগুরার কৃষকরা মুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

মাগুরা বিশ্বরোড কাঁচাবাজারের পাইকারি বিক্রেতা তোতা মিয়া বলেন, মাগুরায় মুলার উৎপাদন ভালো হচ্ছে। প্রতিবছরই এর উৎপাদন বাড়ছে। এখন মাগুরার মুলা জেলার চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ অন্য জেলারও প্রয়োজন মেটাচ্ছে। প্রতিদিনই মাগুরা থেকে ১৫-২০ লাখ টাকার মুলা জেলার বাইরে পাঠাচ্ছি আমরা।

মাগুরা পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী করম মিয়া বলেন, মাগুরার মুলা আকারে বড় এবং সুস্বাদু। বাজারে এর চাহিদা ভালোই। আমরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি করছি।

মাগুরার কৃষি ও প্রকৃতি বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা পল্লি প্রকৃতির নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘মাগুরায় মুলা উৎপাদন বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় আয় ভালো হওয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কৃষি বিভাগ যথাযথ ভূমিকা নিলে এটি মাগুরার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব আনবে।’

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাগুরায় ক্রমেই মুলা চাষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সব ধরনের প্রয়োজনে পাশে থাকছে।’