বেতন কমে যাওয়ায় শিক্ষকদের কর্মবিরতি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কর্মবিরতির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী সম্মানি ভাতা পুনর্বহালের দাবিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৪২ শিক্ষক দ্বিতীয় শিফটে পাঠদান বন্ধ রেখেছেন। শিক্ষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী তারা কর্মবিরতিতে রয়েছেন। ফলে গত ১৭ দিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় শিফটের সব শ্রেণির পাঠদান বন্ধ। এর প্রতিবাদে মাগুরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় শিফটের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী সোমবার ইনস্টিটিউট চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

কর্মবিরতির বিষয়ে ইনস্টিটিউটের শিক্ষক বাবুল ভট্টাচার্যসহ অন্যরা জানান, ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে এ প্রতিষ্ঠানে ৫টি বিষয়ে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস শুরু হয়। প্রথম শিফটের শিক্ষকরাই সেখানে পাঠদান করেন। দ্বিতীয় শিফটে পাঠদানের বিপরীতে শিক্ষকরা প্রথম শিফটের বেতন-ভাতার পাশাপাশি ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী মুল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত সম্মানি পেয়ে আসছিলেন।

কিন্তু ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় সারাদেশে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় শিফটের পাঠদানের সম্মানি ২০১৫ সালের পে স্কেলের বদলে ২০০৯ সালের পে-স্কেলে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে সারাদেশের শিক্ষকদের পক্ষে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু কোনও ফল না হওয়ায় গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা দ্বিতীয় শিফটের পাঠ দান বন্ধ রেখেছেন।

শিক্ষকরা জানান, পে-স্কেল বদলে দেওয়ায় ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী শিক্ষকরা দ্বিতীয় শিফটের সম্মানি বাবদ তার মূল বেতন ২২ হাজার টাকার স্কেলের ৫০ শতাংশ হিসাবে ১১ হাজার টাকা পাচ্ছিলেন। তা এখন কমে ২০০৯ সালের স্কেল অনুযায়ী মাত্র ৫ হাজার ৫শ টাকায় নেমে এসেছে। অথচ দ্বিতীয় শিফটে একজন শিক্ষককে প্রথম শিফটের মতোই দায়িত্ব পালন করতে হয়। এই শিফট এ পাঠদান করার কারণে একজন শিক্ষককে সকাল ৮ টায় এসে সন্ধ্যা ৭ টায় বাড়ি ফিরতে হয়।

মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মনির হোসেন  বলেন, শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে গত ১৭ দিন ধরে আমাদের দ্বিতীয় শিফটের  সব শ্রেণির পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যক্রম শেষ করা নিয়ে আমরা সমস্যায় পড়েছি। দ্রুত এটির নিরসন জরুরি।