খুমেকে করোনা ইউনিটে ভর্তি আরও দুই

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালখুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও দুই রোগী ভর্তি হয়েছেন। নতুন দুই রোগীর মধ্যে একজন পেশায় শিক্ষিকা। এ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোট চার জন।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) এই চার জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ।

তিনি জানান, করোনা সন্দেহে ব‌টিয়াঘাটা থেকে আসা এক স্কুল শি‌ক্ষিকাকে রাত দেড়টার দিকে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা বান্ধবীকেও পর্যবেক্ষণ করার জন্য ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে এখানে চার জন ভর্তি আছে। আগের দুই জনের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তারপরও এ চার জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে।

এরআগে, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাতে করোনা সন্দেহে এক পুলিশ সদস্য ও তার বাবাকে ভর্তি করা হয়। তারা মাগুরা জেলার কাপাশাটি গ্রামের বাসিন্দা।

এদিকে, খুমেক হাসপাতালেকে শুধু করোনা রোগীদের সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘এক বৈঠকে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুমেক হাসপাতালটি পুরোটাই করোনা ইউনিট ও কোয়ারেন্টিনের জন্য করার প্রস্তাব দেন। বৈঠকে উপস্থিত সকলে মেয়রের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন। এর ফলে খুমেক হাসপাতালে আপাতত কোনও রোগী ভর্তি বা চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার বিষয়ে মতামত পাওয়া যায়। শুধুমাত্র করোনা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের করোনা ইউনিটে সেবা দিতে হবে। রোগীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই পুরো হাসপাতালটিকে করোনা ইউনিট গঠন করা হচ্ছে।’

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘খুমেক হাসপাতালটিকে পুরোটাই করোনা ইউনিট চালুর করার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী রবিবার বা সোমবার পুনরায় এ বিষয়ে সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠক হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে সর্দি-কাশি, জ্বরের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। আর যদি কোনও রোগী করোনা সন্দেহজনক হয়- তাহলে তাকে খুমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। তবে করোনা প্রতিরোধে হাসপাতালে এখনও পিপিই পৌঁছেনি। পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে এ সমস্যা হয়েছে। এখন ১ হাজার পিস পিপিই আনার বিষয়ে কথা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে।’