কুষ্টিয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ

ক্ষতিগ্রস্ত কলার ক্ষেতঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে কুষ্টিয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতির হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে গেছে অনেক ঘরবাড়ি এবং উপড়ে পড়েছে গাছপালা। তবে জেলায় কোনও প্রাণহাণির ঘটনা ঘটেনি। বিপর্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে কুষ্টিয়ায় বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ মে) আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। কুষ্টিয়ার পদ্মা ও গড়াই নদীতে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আম্পানের তাণ্ডবে ভেঙে গেছে গাছ

কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (সদস্য সেবা) প্রকৌশলী খন্দকার জসীম উদ্দীন জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা গ্রিডের আওতায় দৌলতপুর, ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ২ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা বিদ্যুৎ ছিল না। পরে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৩ উপজেলার কিছু এলাকা বাদে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সদর উপজেলায় ১০টি ফিডারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬টি ফিডার চালু হয়েছে। আশা করি শুক্রবারের মধ্যে বাকিগুলো চালু করা সম্ভব হবে। তবে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতেও কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়নি।

আম্পানের তাণ্ডব

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার রাত ১০ থেকে বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোর ৫টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় তুমুল ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়। এতে প্রাণহানির না হলেও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণের কাজ চলছে।