এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকালে যশোরের বেজপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। নিহত কাইয়ুম নড়াগাতির বিলাফোর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী ওরফে হাসু শিকদারের ছেলে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে গত ২৬ মে রাত পৌনে ৯টার দিকে কাইয়ুম শিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। কাইয়ুম শিকদার, নড়াগাতি থানা কৃষকলীগের সভাপতি কলাবাড়িয়া গ্রামের আবুল হাসনাত মোল্যা এবং একই গ্রামের আপন দুই ভাই মতিয়ার মল্লিক ও সজীব মল্লিক দু’টি মোটরসাইকেলে কালিয়া উপজেলা সদর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা কালিনগর এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে চার জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা গুরুতর জখম কাইয়ুম শিকদারকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর তিন জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৯ মে রাতে কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে প্রধান আসামি করে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন কাইয়ুমের ছেলে নাইমুল ইসলাম মিল্টন। এছাড়া এ মামলায় ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন আরও বলেন, 'ইউপি সদস্য কাইয়ুম শিকদার হত্যা মামলায় প্রথম গ্রেফতার হওয়া আসামি মাহামুদুল হাসান কায়েসকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’