হয় না জামাত, ঈদগাহগুলো যেন মশার প্রজনন স্থল

ঈদগাহ ময়দান

করোনার কারণে কোনও ঈদগাহে এবার ঈদুল ফিরত ও আজহার জামাত হয়নি। ঈদের জামাত না থাকায় ঈদগাহ ময়দানগুলো অপরিচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। কোনও কোনও ঈদগাহে ঘাস, লতাপাতা আর ঝোপঝাড়ে ভরে আছে। কোনও কোনও ময়দান ব্যবসায়ীদের দখলে আছে। 

ফুলবাড়িগেট মশিয়ালী এলাকার গোলাম রব্বানি বলেন, জামাত খোলা স্থানে না করতে পারার কারণে মশিয়ালী ঈদগাহ ময়দান পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে এখানের বিশাল ক্ষেত্র ঘাসে ভরে আছে।

স্থানীয় রেজোয়ান আহমেদ বলেন, ঈদগাহ ময়দান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করার কারণে সেখানে পানি জমে মশা প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

ঈদগাহ ময়দান

দৌলতপুরের আজগর হোসেন বলেন, দৌলতপুরের ৫/৬টি ঈদগাহ ময়দান অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। এখানের আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দান হোটেল ব্যবসায়ী ও সাইকেল ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে। যারা আগে ফুটপথে থাকতো। কেসিসি উচ্ছেদ করার পর তারা এখন এই ঈদগাহ ময়দান দখলে নিয়েছে। 

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, কেসিসি পরিচালিত ৩ ঈদগাহ ময়দান পরিচ্ছন্ন আছে। এছাড়া কেসিসি এলাকায় আরও ঈদগাহ ময়দান রয়েছে। ঈদ জামাত আয়োজন না থাকায় সেগুলো অযত্নে রয়েছে।

কেসিসির কনজারভেশন বিভাগের প্রধান আব্দুল আজিজ বলেন, সিটি করপোরেশনে মশার তেল পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। নগরীকে মশা মুক্ত করতে ড্রেন, জলাশয়ে লার্ভিসাইড ও কলো তেল নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে। অপরিচ্ছন্ন থাকা ঈদগাহ ময়দান গুলোতে ঈদের পর লার্ভিসাইড ও কালো তেল স্প্রে করা হবে।