শৈলকুপায় হয়ে গেলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা






শৈলকুপায় অনুষ্ঠিত লাঠিখেলাঝিনাইদহের শৈলকুপায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। মনোমুগ্ধকর এ খেলার আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। কালের ক্রমে হারিয়ে যাওয়া এ লাঠিখেলা দেখতে ভীড় করে নানা বয়সের মানুষ। গ্রামীণ এ ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাকে টিকিয়ে রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা এমনটাই মনে করেন দর্শনার্থীরা।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে কেউ হেঁটে আবার কেউ বা ভ্যান, মোটরসাইকেলে করে শৈলকুপার বড়দাহ গ্রামের হাইস্কুল মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন। উদ্দেশ্যে গ্রামীণ ঐতিহ্য লাঠিখেলা দেখা। সূর্য পশ্চিম দিগন্তে একটু হেলে পড়তেই শুরু হয়ে যায় খেলা।

লাঠিখেলা উপভোগ করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ ঢাক, ঢোল আর কাঁসার ঘণ্টার শব্দে যেন চারপাশে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। বাদ্যের তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। তারপরই চলে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা। এসব দৃশ্য দেখে আগত দর্শকরা করতালির মাধ্যমে উৎসাহ জোগায় খেলোয়াড়দের। হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নিয়মিত আয়োজন করার দাবি দর্শকদের।
মানুষকে আনন্দ দিয়ে নিজে আনন্দ পাওয়ার জন্যই এ খেলায় অংশ নেন বলে জানান খেলোয়াড়রা। আয়োজক ইবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুজার গিফারী গাফফার বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়, অপরাধ দূর করতে আর হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই আয়োজন।

সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি চলা এ লাঠিখেলায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১০টি লাঠিয়াল দল অংশ নেয়।