যশের বাবা এএসআই অমিত মন্ডল বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এজাহারে বলা হয়েছে, ‘২০১৫ সালে আমার বড় ভাই অনুপ মন্ডল আমার স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন সময় আমার স্ত্রী ও সন্তানের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। আমার ধারণা, আমার বড় ভাই ও আমার সন্তানের কাছাকাছি যারা ছিল তারা পরস্পরের যোগসাজশে তার গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।’
এতে আরও উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে তার স্ত্রীর সঙ্গে বড় ভাই অনুপ মন্ডলের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থলের পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বটিয়াঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জল কুমার দত্ত বলেন, অনুপ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরকীয়ার জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। ঘটনার পেছনে পারিবারিক কলহ বা তৃতীয় কোনও ব্যক্তি আছে কিনা তা সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। শিশুটির মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলতলা গ্রামে রাস উপরক্ষে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে আসেন এএসআই অমিত। পরদিন ৩০ নভেম্বর সকালে যশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।