সাতক্ষীরায় ৬৪৭ জন করোনা রোগী, হাসপাতালে শুধু ৫৯

গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন একজন; বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। সংক্রমণের হার ছিল ৫০ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বর্তমানে জেলাজুড়ে ছয় শতাধিক করোনা রোগী সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, বিভিন্ন ক্লিনিক এবং নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে দুই হাজার ২৫৬ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৪৭ জন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩৭ জন ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসাধীন। বাকিরা বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

এদিকে জেলায় করোনার সংক্রমণ না কমায় গত ৫ জুন থেকে চলা লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৭ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। লকডাউনে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা থাকায় বাজারে জনসমাগম থাকলেও রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। সকাল থেকে ছোট ছোট কিছু যানবাহন চলছে। জরুরি সেবা ছাড়া বড় যানবাহন রাস্তায় নেই।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, শহরের হাসপাতাল, নারিকেলতলা, পাকাপোল, নিউমার্কেট ও বড়বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি টহল অব্যাহত আছে। টহল অব্যাহত আছে উপজেলা শহরগুলোতেও। শহরের বিভিন্ন এলাকার লিংক রোডগুলোতে বাঁশ দিয়ে মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি পাহারার পাশাপাশি শহর ও প্রান্তিকপর্যায়ে কাজ করছে র‌্যাব।