এএসআই সৌমেনের বিরুদ্ধে মামলা, ঘটনা তদন্তে ২ কমিটি

কুষ্টিয়ায় দিনদুপুরে গুলি করে স্ত্রী ও সৎ ছেলেসহ তিন জনকে হত্যার অভিযোগ পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির একটিকে দুই ও অন্যটিকে প্রতিবেদন দাখিলে সাত কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, রবিবার (১৩ জুন) রাতে সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত শাকিল খানের বাবা মেজবার রহমান।

স্ত্রী-সন্তানসহ ৩ জনকে হত্যার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ

এদিকে তিন জনকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যার ঘটনায় খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রবিবার এ দু’টি কমিটি গঠিত হয়। রেঞ্জ কার্যালয় থেকে গঠিত কমিটিকে দুই কার্যদিবস ও জেলা পুলিশের কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদ ও রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।

খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ। অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন ও কুষ্টিয়া ডিআইও-১ ফয়সাল হোসেন।

৩ জনকে গুলি করে হত্যা, এএসআই সৌমেন বরখাস্ত

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় গঠিত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদ। অন্য সদস্যারা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মো. খায়রুল আলম ও জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ শেখ মাসুদুর রহমান।

খুলনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদ বলেন, প্রশাসনিক বিষয়গুলো তদন্ত করা হবে। বিশেষ করে এএসআই সৌমেন রায় কর্মস্থলে কেন অনুপস্থিত ছিলেন, তার নামে অস্ত্র ইস্যু হয়েছে কিনা এবং পারিবারিক ও অন্যান্য নানা বিষয় তদন্তে উঠে আসবে।

অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বলেন, তদন্তে শৃঙ্খলার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। তবে দুই কার্যদিবসে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।

ছুটি না নিয়েই খুলনা থেকে কুষ্টিয়ায় যান এএসআই সৌমেন

প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ায় গুলি করে স্ত্রী ও সৎ ছেলেসহ তিন জনকে হত্যার অভিযোগ উঠে এএসআই সৌমেন রায়ের বিরুদ্ধে। শহরের পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে স্থানীয়রা সৌমেন রায়কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহতরা হলেন-কুমারখালী উপজেলার সাঁওতা গ্রামের মেজবার খানের ছেলে বিকাশকর্মী শাকিল খান (৩৫) একই উপজেলার নাথুরিয়া বাশগ্রামের আমির আলীর মেয়ে আসমা খাতুন (৩০) এবং শিশু রবিন (৬)। আসমার বাড়ি কুমারখালীর নাথুরিয়া হলেও সন্তানকে নিয়ে তিনি কুষ্টিয়া শহরে বাবার বাড়িতে থাকতেন।