পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে খুলনা সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় মহানগরীর জোড়াগেট বাজার চত্বরে সপ্তাহব্যাপী কোরবানির পশুরহাট উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উদ্বোধনের দিনই এ হাটে আনা হয়েছে এক হাজার ৪শ’ কেজি (৩৫ মণ) ওজনের একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। এর দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এ গরুটি সবার নজর কেড়েছে।
নড়াইল কালিয়ার ব্যাপারী আনোয়ার মোল্লা জানান, তিনি নয়টি গরু নিয়ে নৌ পথে এ হাটে এসেছেন। তার বড় গরুটির ওজন ৩৫ মণ। যা রাখা হয়েছে হাট অফিসের সামনে। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটির দাম তিনি ১৫ লাখ টাকা হাঁকছেন। তবে, দর কষাকষিতে তিনি ১২ লাখ টাকায় এটি বিক্রি করতে আগ্রহী। আড়াই মাস আগে তিনি এ গরুটি ক্রয় করেন একজন ব্যাপারীর কাছ থেকে। তবে এর মূল মালিক নড়াইলের বলে তিনি জানান।
খুলনা সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর জোড়াগেট বাজার চত্বরে সপ্তাহব্যাপী কোরবানির পশুর হাট ফিতা কেটে হাটের উদ্বোধন করেন– নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। নতুন রূপে সেজেছে এই কোরবানির পশুর হাট। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এ হাট পরিচালিত হচ্ছে। সপ্তাহব্যাপী এ হাটে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ও প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বয়স্ক ও শিশুরা পশুর হাটে প্রবেশ করতে পারবে না। www.Kcchaat.com-এ অনলাইনের মাধ্যমেও পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।
হাট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, ‘করোনার কারণে অনেকটা সাদামাটাভাবে হাটের উদ্বোধন করা হলো। অসুস্থতার কারণে উদ্বোধনী দিনে মেয়র ছিলেন না। করোনা সংকট মোকাবিলায় হাট কমিটি গেটে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ছাড়া মাঠে প্রবেশ নিষেধ, সামাজিক দূরত্ব বজায়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচল করাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা বলেছেন, ‘মার্কেট এবং পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাকে অবশ্যই মাস্ক পরা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। মার্কেট এবং পশুর হাটে আগত ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে। পশুর হাটে আগত ক্রেতাদের প্রবেশ এবং বহির্গমনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি মার্কেটের এবং পশুর হাটের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/বেসিন স্থাপন এবং সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। একটা দোকানে একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি ক্রেতা প্রবেশ/অবস্থান করবেন না। প্রতিটি মার্কেটের এবং পশুর হাটের সামনে স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশিকা “স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যু ঝুঁকি আছে” সম্বলিত ফেস্টুন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ মার্কেট/পশুর হাটে প্রবেশ করবেন না। মূল্য প্রদান এবং হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে।