মীমাংসার বৈঠকে শ্বশুর-শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম

মেয়ের পারিবারিক কলহের মীমাংসা করতে গিয়ে জামাতার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শ্বশুর-শাশুড়ি। রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আহত শ্বশুর আব্দুল মান্নান (৫৮) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে শাশুড়ি রিক্তা খাতুনের (৪০) অবস্থায় খারাপ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরতলীর জাফরপুর গ্রামে জামাইয়ের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জামাতা আরিফ হোসেনকে আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আহত আব্দুল মান্নান বলেন, বছর দুুই আগে মেয়ে মিম খাতুনের (২২) সঙ্গে জাফরপুর গ্রামের জাহিদুলের ছেলে ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনের (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের কদিন পর থেকেই মেয়েকে মারধর শুরু করে আরিফ। মীমাংসার জন্য বুধবার আমি ও আমার স্ত্রী রিক্তা মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে যাই। রাতে মীমাংসার আলোচনার এক পর্যায়ে আরিফ আমাদের ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. সাজিদ হাসান বলেন, দু’জনের শরীরে মোট ১৫/২০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক একরাম হুসাইন বলেন, আহত দুই জনের মধ্যে আব্দুল মান্নান হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও তার স্ত্রী রিক্তা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। জামাই আরিফ হোসেনকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।