চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আসমানখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আটজনকে অভিযুক্ত করে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। মামলার প্রধান আসামি উপজেলার শালিকা গ্রামের মুলাম হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী নারী পার্শ্ববর্তী আসমানখালীর মিজানুর রহমান কলুর কাছে একটি কাজ ঠিক করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কলু কাজ ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আসমানখালী বাজারে আসতে বলে। ওই নারী কথামতো বাজারে দেখা করেন। এ সময় কলুর সাথে থাকা মুলাম হোসেন কাজ ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে। পরে ওই নারীকে বাজারের দোতলা ভবনের কক্ষে নিয়ে যায় তারা।

এরপর মুলাম, বন্দরভিটা গ্রামের লিপন (৩৫), শালিকা গ্রামের হাসান (৪০), নাজিরুল (২৫), মহেশপুর গ্রামের হাবু (৪২) ও নান্দবার গ্রামের হামিদুল (৩৪) কলুর সঙ্গে কক্ষে ঢোকে। ওই নারী আসবে নিশ্চিত হয়ে কলু তাদেরকে মোবাইলে ডেকে নেয়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।

পুলিশ আরও জানায়, ওই নারী সেখান থেকে বাড়িতে চলে যান। বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্ত মিজান ও রিপন তাকে টাকা দিতে চায়। তিনি টাকা নিতে না চাইলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। 

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, ওই নারী বুধবার রাতে থানায় এসে সাতজনসহ অজ্ঞাত আরেকজনকে মামলা করেছেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার ১ নম্বর আসামি মুলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে। গ্রেফতার মুলামকে আদালতে পাঠানো হবে।