মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় আরও এক রোহিঙ্গা গ্রেফতার 

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে গ্রেফতার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।

গ্রেফতারকৃতের নাম মো. ইলিয়াছ (৩৫)। তিনি কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। এ নিয়ে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক জানান, কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত এক আসামি অবস্থান করছে, এমন খবরে রবিবার দুপুর ১২টায় এপিবিএনের একটি দল অভিযান চালায়। সন্দেহজনক একটি বাড়ি ঘেরাও করলে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় ইলিয়াছ। পরে ধাওয়া দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মিয়ানমার সরকারের এজেন্টরাই মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত: আরসা

গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে পাঁচ রাউন্ড গুলি করে। এ সময় তিন রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে পড়ে যান। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা করেন।

গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ সেলিমকে আটক করে। শুক্রবার দিবাগত রাতে রোহিঙ্গা জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে ক্যাম্প থেকে আটক করা হয়। অপরদিকে উখিয়া থানা পুলিশ শনিবার বিকালে কুতুপালং তিন নম্বর ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহকে আটক করে উখিয়া থানার পুলিশ।

এদিকে মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম ও শওকত উল্লাহর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।