যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিন্টু ওরফে কালু এবং আজিজ ওরফে আজিজুলের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত (৪ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওই দু'জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফাঁসি কার্যকরের আগে কারাগারে প্রবেশ করেন ডিআইজি (প্রিজন) ছগির মিয়া, জেলা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আসিফ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনসহ সরকারি কর্মকর্তারা।
ফাঁসি কার্যকরের পর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতেই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এর আগেই লাশ নিতে আজিজুলের বড়ভাই সভা মিয়া ও ভাইপো মিজানুর রহমান এবং মিন্টুর চাচাতো ভাই ইকরামুল এবং তাদের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কারাগারে পৌঁছান।
এর আগে, গত শনিবার মিন্টু ও আজিজুলের সঙ্গে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে শেষবারের মতো দেখা করে তার পরিবার। ওই সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই জনসহ চার জনকে আসামি করা হয়। অপর দুই জন হলেন- একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান আসামি মহি। ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত সুজন, আজিজ ও মিন্টুর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপর আসামিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ দুই আসামির রায় বহাল রাখেন এবং অপর আসামি সুজনকে খালাস দেন। গত ২০ জুলাই যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান সুজন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করলে তা নামঞ্জুর হয়। ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে কারা অধিদফতরকে ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার ৮ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি গ্রহণ করে।