হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি আবরারের মায়ের

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যার দুই বছর আজ বুধবার (৬ অক্টোবর)। এখনও ছেলে হারানোর যন্ত্রণায় কাতর আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। আবরারের ব্যবহৃত জিনিসপত্রে প্রিয় সন্তানকে খুঁজে ফেরেন মা। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।

সন্তান হারানোর কষ্টের কথা জানিয়ে রোকেয়া খাতুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সবাই দেখেছেন, আমার ছেলে আবরারকে কত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দুই বছর অতিবাহিত হলেও ছেলের হত্যাকারীরা এখনও জীবিত রয়েছে। আবরারের হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে তাদের পরিবার বুঝবে, ছেলে হারানোর কতটা যন্ত্রণা নিয়ে আমি বেঁচে আছি।’ দ্রুত রায় ঘোষণার পাশাপাশি তা কার্যকরের দাবি জানান তিনি।

আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ‘বিচারকাজে বিলম্ব হওয়ায় অনেকেই এই মামলাটিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। তাই অতিদ্রুত সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।