‘গরু-খাসি না, ব্রয়লার কেনাও অসম্ভব হয়ে উঠছে’

কুষ্টিয়ার বাজারে মুরগির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অস্বাভাবিক দাম বৃৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।
 
সরেজমিনে কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার তহবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সব ধরনের মুরগি কেজিতে  ৩০-৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিরপুরের বিভিন্ন বাজারেও একই চিত্র দেখা গেছে।

বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। সোনালী মুরগি গত সপ্তাহে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও কয়েক দফায় বেড়ে এখন সেটি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এছাড়া গত সপ্তাহে লেয়ার মুরগির দাম ছিল ২২০ টাক কেজি। বর্তমানে তা বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় মিরপুর এলাকার হাসান জাকির বলেন, বাজারে তদারকির অভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মুরগির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। সব ধরনের মুরগির দামই বেড়েছে। এ অবস্থায় বাজার তদারকির দাবি জানান তিনি। 

খন্দক বাড়িয়া গ্রামের সোহাগ হোসেন বলেন, বাজার তদারকি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতা ঠকিয়ে মুনাফা লুটছেন। 

পাহারপুর গ্রামের আবদুল্লাহ বলেন, আমরা গরিব মানুষ। গরু-খাসির মাংস কেনার সামর্থ নেই। মাঝে মধ্যে ব্রয়লার মুরগি কিনে খাই। এখন মুরগি কেনাও আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে উঠছে। 

মিরপুর তহবাজারের মুরগি বিক্রেতা রকিব খাঁন বলেন, সব ধরনের মুরগির খাবারে দাম বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। একইসঙ্গে বাচ্চার দামও বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে পাইকাররা এসে ফার্ম থেকে সরাসরি মুগরি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে স্থানীয় বাজারে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এসব কারণেই দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

মতিয়ার নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, লকডাউন উঠে যাওয়ার কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁ এমনকি সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় মুরগির বিক্রি ও দাম বেড়েছে। ফলে এর চাহিদাও দ্বিগুণ হয়েছে। এতে বাজারে মুরগির দামে প্রভাব পড়েছে।