চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনি সহিংসতায় আহত ৭

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ মোট সাত জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার কুমারী ও ডাউকি ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সেলিম ও হিরণ নামে দুজনকে আটক করেছে।

কুমারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পথসভা শেষে আমার নির্বাচনি অফিসে আসার পর নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা হঠাৎ অফিসে ভাঙচুর চালায়। তারা আমাদের কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টু বলেন, ‘আমার কর্মীরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর করেনি। তারাই আমার একটি অফিস ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে।’

অপর ঘটনায় ডাউকি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, ‘পোয়ামারি গ্রামে আমার একটি অফিস ভাঙচুর করেছে নৌকা প্রতীকের তরিকুল ইসলামের কর্মীরা।’

অভিযোগ অস্বীকার করে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেই অফিসটা ভেঙে ফেলা হয়েছে, সেটা বিএনপি-জামাতের অফিস।’

এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।’